‘বিদেশী গাছে আমাদের দেশী প্রাণী বাঁচবে কী করে?’ ২২ মে আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এমেরিটাস কাজী জাকের হোসেন। ‘প্রাণবৈচিত্র্য: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ তৌহিদুল ইসলাম এবং ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট, বাংলাদেশের সুন্দরবন টাইগার প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার এডাম বারলো ও ক্রিস্টিনা গ্রীনউড।

সুন্দরবন টাইগার প্রজেক্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এডাম বার্লো বলেন, বাঘের জীবনবৈচিত্র্য প্রাণবৈচিত্র্য এবং তার গত শতকের চেয়ে এই শতকে বাঘের পরিমাণ প্রায় সিংহভাগ হ্রাস পেয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশের সুন্দরবনের বাঘ ভারতের বা নেপালের বাঘের তুলনায় অনেক ছোট। তার সম্ভাব্য কারণ, বাংলাদেশে বাঘের জন্য যে শিকার পাওয়া যায়, অর্থাৎ চিত্রা হরিণ আকারে ছোট। অতএব, আমরা যদি ভাবি সুন্দরবনের বাঘ শেষ হয়ে গেলে অন্য জায়গা থেকে বাঘ এনে ছাড়া যাবে - সেটা ভুল হবে। এটা সম্ভব নয়; কারণ অন্য এলাকার বাঘ সুন্দরবনে বাঁচতে পারবে না; তা অন্য পরিবেশে বাস করতে অভ্যস্থ। ড. শেখ তৌহিদুল ইসলাম বাংলাদেশে প্রাণবৈচিত্র্য হ্রাসের উপর তার গবেষণালদ্ধ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য ২০০২ সালে পৃথিবীর ২০০ টি দেশের প্রতিনিধি জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এক সিদ্ধান্তে ২০১০ সালকে আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য বর্ষ হিসেবে ঘোষনা করে। আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য বর্ষ ২০১০ উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র যে বছর-ব্যাপী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, তার অংশ হিসেবে চক্র এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।