10 March 2011

পরিবেশ নিয়ে বইয়ের তালিকা

পরিবেশ জানার ক্ষেত্রে আমাদের শুরু বোকার মতো। যে সব কঠিন বই আমাদের প্রথমেই ''বদহজম তৈরী করবে'' সেই বই দিয়ে আমারা শুরু করি। ফলে কিছুদিনের মধ্যে উৎসাহে ভাটা পড়ে। কিন্তু তারুণ্যের ধর্ম অনুসারে আবার নতুন করে শুরু করি পড়া-শোনা। এবার কিছুটা ফল লাভ হয়।  এইখানে কিছু পরিবেশ বিষয়ক বইয়ের তালিকা দেয়া হলো। এটি ধীরে ধীরে শত, হাজার ত্রুম অতিক্রম করবে আমরা সেই আশায় করি। বইগুলি বিভাগ অনুযায়ী ভাগ করা নয়। তবে অচিরেই এসব বইয়ের রিভিয়ু ও বিভাগ অনুযায়ী তালিকাবদ্ধ করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতি আমরা করছি। 

১. বিপন্ন পরিবেশ- আবদুল্লাহ আল-মুতী- বাংলা একাডেমী।
২. গহন কোন বনের ধারে প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা-দ্বিজেন শর্মা- সাহিত্য প্রকাশ।
৩. কুরচি তোমার লাগি- দ্বিজেন শর্মা-উৎস প্রকাশন।
৪. বিতর্কের পরিবেশ-মোহিত রায়-অনুষ্টুপ প্রকাশনী, কলকাতা।
৫. বিপন্ন পৃথিবী-অনুবাদ-ফারুক চৌধুরী- সাহিত্য প্রকাশ।

কলকাতা থেকে প্রকাশিত
বাঙলা বই

  • উজ্জ্বল সিংহ                   দূষিত হচ্ছে পরিবেশ
  • কল্যাণ চক্রবর্তী             বাঘ ও মানুষ। আনন্দ
  • দুর্গা বসু                        পরমা প্রকৃতি: দূষণ ও সংরক্ষণ। শ্রীভূমি
  • গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য      বাংলার গাছপালা। শৈব্যা
  • তারকমোহন দাস           পৃথিবী কি শুধু মানুষের জন্য। জোনাকি
  • ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ           ময়লা জল পরিশোধন ও তার পুর্নব্যবহার। পশ্চিমবঙ্গ রার্জ্য পুস্তক পর্ষদ
  • নন্দলাল ভট্টাচার্য           সবুজবাড়ি ও পরিবেশের গল্প। নিউপাবলিশিং কনসার্ন
  • নিরঞ্জন সিংহ                 পরিবেশ দূষণ: ভূপাল। মর্ডান কলাম
  • নীহারকান্তি সামন্ত           জল সরবারহ প্রযুক্তিবিদ্যা। ভারতী বুক স্টল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।


 

একটি সাধারণ পরিবেশ অভিধান

পরিবেশ নিয়ে পড়তে গিয়ে প্রায়ই আমরা এমন কিছু শব্দ বা শব্দাবলীর সম্মুখিন হই, যার অর্থ হয়তো আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আমারা নিজেরা এই সমস্যার সম্মুখিন হয়ে এই অতি সাধারণ পরিবেশ অভিধান তৈরীর চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু বই থেকে ‘ডাকাতি’ করে শব্দগুলোর মোটামুটি বোধগম্য অর্থ বের করে নোট করেছি।  এইখানে ঐগুলোই আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো। যে সব বই, পত্রিকা থেকে শব্দগুলো নেয়া হয়েছে তার সূত্র যথাসময়ে প্রকাশ করবো। 


অম্লবর্ষণ: (Acid Rain)

প্রাকৃতিক বৃষ্টি এবং তুষারপাত বিশুদ্ধ জলের মতো একেবারে অম্ল বা ক্ষারভাব বর্জিত নয়, বরং সামান্য অম্লভাবাপন্ন। কিন্ত যে বৃষ্টির জল ঐ অম্লভাবের একটা নির্দিষ্টমাত্রা(ph 5.6 অপেক্ষা কম) অতিক্রম করে সেই বৃষ্টিকে অম্লবর্ষণ বলে। শিল্পজাত বহু ধরনের গ্যাস বায়ুমন্ডলে জমা হয় এবং বৃষ্টিতে অম্লভাব বৃদ্ধির কারণ হিসাবে কাজ করে। এই অম্লবর্ষণের ফলে একদিকে যেমন বিভিন্ন জলাশয়ের জলজ প্রাণীদের ক্ষতি হয় তেমনই আর একদিকে মনুষ্যসৃষ্ট নানা রকমের বাড়িঘর বা সৌধ এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া গাছপালা ও শস্যের পক্ষেও এই অম্লবর্ষণ বিপদজনক।


কার্বন চক্র  (Carbon Cycle)

প্রাণীর পুষ্টির একটি অন্যতম প্রধান মৌল কার্বনের, জীবদেহ ও প্রকৃতির মধ্যে চক্রাকারে আবর্তনকে বলা হয় কার্বন চক্র উৎপাদাক উদ্ভিদ বায়ুমন্ডলের ও জলে দ্রবীভূত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। খাদ্যস্তর অনুযায়ী বিভিন্ন খাদক খাদ্যের মাধ্যমে এই কার্বন গ্রহণ করে। এই কার্বনের অনেকটাই সমস্ত জীবের শ্বাস-প্রক্রিয়ায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড হয়ে প্রকৃতিতে ফিরে যায়। এছাড়া মৃত জীবের পচন, বিভিন্ন দহন ও শিল্প প্রক্রিয়াতে তৈরী কার্বন ডাই-অক্সাইডও বায়ুমন্ডলে স্থান গ্রহণ করে। কার্বনের এই চক্রটি বাস্তুতন্ত্রের সংরক্ষণের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ । সাম্প্রতিক ব্যাপক শিল্পদূষণে এই চক্রটি ক্ষতিগ্রস্থ বলে বিজ্ঞানীরা বলেছেন।


ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (Chloroflurocarbon, CFC)

ক্লোরিন, ফ্লোরিন ও কার্বনের দ্বারা গঠিত কয়েকটি বিশেষ ধর্মের যৌগকে বলা হয় ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, সংক্ষেপে সি. এফ. সি(cfc) এই যৌগগুলির মূল ব্যবহার শীতক হিসাবে, যেমন রেফ্রিজারেটারের শীতক একটি cfc যৌগ(বাণিজ্যক নাম ফ্রেয়ন)। এছাড়া ফোম তৈরী, ধাতু পরিস্কার, শিল্পে জীবাণুনাশক, বিভিন্ন স্প্রে, প্রভৃতি কাজে এই যৌগগুলি ব্যবহৃত হয়।যদিও সরাসরি এই যৌগগুলি কোন দূষণ করে না, কিন্তু উর্ধ্কাশে এই যৌগগুলি ওজন স্তর ধ্বংস করছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। সম্প্রতি এই যৌগগুলি ক্রমশ সারা পৃথিবীতে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, ও বিকল্প দ্রব্যের জন্য গবেষণা চলছে।
তথ্য নেয়া হয়েছে: মোহিত রায় সম্পাদিত প্রসঙ্গ পরিবেশ বই থেকে। 

09 January 2011

উপকারী কাঠকয়লা


প্রচলিত আছে “কয়লা ধুলে ময়লা যায় না” । স্পষ্টতই কয়লাকে চরম অবজ্ঞা করে ময়লার সাথে তুলনা করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো: পানির কয়লাকে ধোয়ার কোন ক্ষমতাই নেই বরং কয়লাই পানির ময়লা পরিস্কার করে।

ভাবছেন পুরোপুরি উল্টো কথা বলছি ? মোটেই না।
কাঠকয়লার স্বরুপ জানা থাকলে আপনিও আমার কথা স্বীকার করবেন।

29 December 2010

চা পাখি

এত কিছু থাকতে চা পাখি নিয়ে লেখবার একটা কারণ আছে। এবছর অনুসন্ধিৎসু চক্র শীতবস্ত্র বিতরণ করে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার রতনপুর গ্রামে একটা আদিবাসী এলাকায়। তবে দিনাজপুর যাবার আগে থেকেই চক্রের সদস্যদের মধ্যে একটা জিনিস নিয়ে বেশ শোরগোল ওঠে, আর তা হল চা পাখি।
ব্যাপারটা এরকম যে দিনাজপুরে চা পাখি খেতে পাওয়া যায়। মানে "ফ্রাইড চা পাখি"। শীতের পাখিই হোক আর অতিথি পাখিই বলা হোক খাওয়ার সুযোগ পেলে সেটাকে হাতছাড়া করা উচিত নয়। তাই অ.চক্রের একাংশ সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে। আমি সেই দলের একজন। চা পাখি খেতে কেমন বা খাবার পরে কি হয়, সেটা বলতে চাচ্ছি না। তবে চা পাখি নিয়ে লেখাটি অ.চক্রের দুজনকে উৎসর্গ করতে চাচ্ছি। প্রথমজন, যিনি চা পাখি খেতে বলেছিলেন আর দ্বিতীয়জন, যিনি অনেক কষ্ট করে আমাদের চা পাখি খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।

চা পাখি

17 December 2010

বাবুই এর বাসা

কয়েকদিন আগে কুমিল্লা থেকে ঘুরে আসলাম। কুমিল্লা ময়নামতি বোদ্ধ বিহার যা শালবন বিহার নামে পরিচিত। সেখানে ঢুকতেই প্রথম যেটা চোখে পড়লো তা হলো একটা বিশাল তাল গাছ, আর তাতে ঝুলে থাকা অনেকগুলো বাবুইয়ের বাসা। সাথে একটা ডিজিটাল ক্যামেরা ছিল তাই আর দেরি না করে কয়েকটা ছবি তুলে ফেললাম।
তাল গাছে বাবুইয়ের বাসা
ছবিগুলো Sony-DSC W320 দিয়ে তোলা