হরাইজন নামের প্লাটফর্মে ২০ এপ্রিল বড় ধরনের বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এরপর ২২ এপ্রিল একপর্যায়ে জ্বলন্ত প্লাটফর্মটি ডুবে যায়। ওই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে দৈনিক তিন লাখ ৩৬ হাজার গ্যালন তেল উত্তোলন করা হতো। বিস্ফোরণের আগে অর্ধনিমজ্জিত প্লাটফর্মটিতে সাত লাখ গ্যালন (২৬ লাখ লিটার) জ্বালানি তেল ছিল। ডুবে যাওয়া সেই তেল উত্তোলন করার প্লাটফর্ম থেকে এখন দৈনিক পাঁচ হাজার ব্যারেল (দুই লাখ ১০ হাজার গ্যালন) তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটির কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানান, এর আগে ওই প্লাটফর্ম থেকে দৈনিক এক হাজার ব্যারেল তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়ছিল।অ্যাডমিরাল ম্যারি ল্যান্ড্রি জানান(২৯ এপ্রিল,২০১০), এখন সাগরে প্রতিদিন পাঁচ হাজার ব্যারেল তেল (দুই লাখ ১০ হাজার গ্যালন)
ছড়িয়ে পড়ছে। প্লাটফর্মটিতে তৃতীয় আরেকটি ছিদ্র সৃষ্টি হয়েছে। এসব ছিদ্র দিয়ে সাগরে অনবরত চুয়ে পড়ছে তেল। ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে রোবট ডুবোজাহাজ দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তা সফল হচ্ছে না। নিঃসরণ অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন সাগরের বিস্তর এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়ছে। শেষ খবর অনুযায়ী প্রায় ৭৪ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় তেল ছড়িয়েছে।
কানাডার তেলকূপ অগ্নিনির্বাপক কম্পানি 'সেফটি
বস'র প্রধান মাইক মিলার বলছেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল বিপর্যয় হিসেবে দেখা দিতে পারে। কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, নিঃসরণ বন্ধ করা না গেলে আগামী দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এক কোটি ১০ লাখ গ্যালন তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ১৯৮৯ সালের আলাস্কায় ইক্সন ভালদেজ তেল বিপর্যয়কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
পরিবেশ রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে এর আগে কোস্টগার্ড তেল ছড়িয়ে পড়া সাগরের কিছু অংশে আগুন ধরিয়ে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, মিসিসিপি নদীর পূর্ব দিকে তেল ছড়িয়ে পড়া সাগরের পৃষ্ঠে ৫০ কিলোমিটার এলাকায় 'নিয়ন্ত্রিত আগুন' ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে মাইক মিলার এ পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদি নয় বলে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, আসল বিষয় হচ্ছে, তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে হবে।
পরিবেশবিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়ায় এর প্রভাবে উপকূলের আশপাশের বিভিন্ন প্রাণী বিষাক্ত গ্যাসের প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
লুইজিয়ানার গভর্নর ববি জিন্দাল পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে জরুরি সহায়তা করতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

4 comments:
1) প্রথম লাইন অত্যন্ত দীর্ঘ। বড় বড় লাইন যতটুকু ব্যবহার কম করা যায় ততই ভালো।
2) লেখার প্রথম অনুছ্ছেদের লক্ষ্য থাকে পাঠককে প্রথমেই ধরে ফেলা। এই লেখার প্রথম অনুচ্ছেদ দূর্বল বলে মনে হয়েছে।
3) তথ্যসূত্র কোথায়?
4) সাগর পৃষ্ঠে তেল ছড়িয়ে পড়লে আসলে কি হয়?
5) লেখাটি যেই লিখুন বা অনুবাদ করুন বা সংগ্রহ করুন বা গ্রন্থনা করুন, তার নাম আসা উচিত।
কোন সালের ঘটনা এটা?
osadharon kaj
অসাধারণ ডিজাইন। অসাধারণ পরিশ্রম। যারা এর পেছনে আছেন তাদের আমার অন্তর থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। চালিয়ে যান। আমি আপনাদের জন্য গর্ব অনুভব করছি। আমি নিশ্চিত সব অনুসন্ধিৎসুরাই গর্বিত হবে।
Post a Comment